gtag('config', 'G-M4YNCZMFG4'); Registration Student Support Admission Now
ডিজিটাল মার্কেটিং ও অনলাইন ব্যবসা

ডিজিটাল মার্কেটিং ও অনলাইন ব্যবসা শুরু করার পূর্বে করণীয় এবং বর্জনীয়”

গত কয়েক বছরে আমি বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসার সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে মনে করেছি, কিছু বিষয় সবার সাথে শেয়ার করা দরকার। আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, কীভাবে একটি ব্যবসা অনলাইনে লাভজনক হয় বা কেন কিছু ব্যবসা অনলাইনে গিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আজকের এই লেখা সেই অভিজ্ঞতার আলোকে।

ডিমান্ড আছে এমন প্রোডাক্ট নির্বাচন:

অনলাইন ব্যবসা শুরু করার আগে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হলো এমন প্রোডাক্ট বেছে নেওয়া, যার সবসময় চাহিদা থাকে। অনেকেই হয়তো অরগানিক খাবার, জামাকাপড়, গৃহসজ্জার সামগ্রী, বা শিশুদের আইটেমের মতো সাধারণ প্রোডাক্ট বেছে নেয়। তবে, এ ধরনের প্রোডাক্টের প্রতিযোগিতা কতটা বেশি, তা একবার ভাবা উচিত।

অনেকেই উদাহরণ দিয়ে বলতে পারেন, “অমুক ভাই তো এই ধরনের ব্যবসা করে প্রচুর টাকা প্রফিট করছে।” হ্যাঁ, কেউ কেউ সফল হয়, তবে একই সঙ্গে এই বাজারে প্রচুর বিক্রেতা রয়েছে। প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ায় প্রোডাক্ট বিক্রি করা সহজ নয়।

সাধারণ প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করলে কী হয়?

  • প্রতিযোগিতা বেশি থাকায় লাভের মার্জিন কম হয়।
  • ক্রেতারা অনেক বিকল্পের মধ্যে থেকে বেছে নিতে পারেন, ফলে আপনার প্রোডাক্ট নজরে আসা কঠিন হয়।
  • একধরনের প্রোডাক্ট বারবার দেখায় ক্রেতারা বিরক্ত হয়, ফলে পোস্টের এনগেজমেন্ট কমে যায়।
  • ক্রেতারা পণ্যের মান ও মূল্য নিয়ে তুলনা করতে পারেন, যার ফলে আপনার বিক্রি আরও কঠিন হয়।

প্রোডাক্ট সিলেকশন ভালো না হলে, যতই ভালো ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ করুন, তাতে কাজ হবে না। মনে রাখবেন, ডিজিটাল মার্কেটারের হাতে কোনো জাদুকাঠি নেই।

ডিজাইন ও কন্টেন্টে মনোযোগী হওয়া:

ডিজাইন ও কন্টেন্ট আকর্ষণীয় না হলে, ক্রেতারা দ্রুত স্ক্রল করে চলে যাবেন। আপনার প্রোডাক্ট যতই ভালো হোক না কেন, যদি আপনার কন্টেন্ট ক্রেতার মনোযোগ না ধরে রাখতে পারে, তবে বিক্রি কমে যাবে। কাস্টমারকে প্রথমবারের মতো আকর্ষণ করার জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং-এর বিকল্প নেই।

একজন ক্রেতা সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রল করতেই থাকেন। যদি আপনি তাকে ৩০ সেকেন্ড বা ১ মিনিটের জন্য থামাতে পারেন, সেটাই অনেক কিছু। ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে খরচ কিছুটা হবেই, যা ব্যবসার একটি অংশ। কন্টেন্ট ভালো না হলে, বিজ্ঞাপনের খরচ বেড়ে যাবে এবং ফলাফল আরও খারাপ হবে।

ভালো কন্টেন্টের উপাদান:

  • প্রাণবন্ত সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি।
  • অর্থবহ ছবি বা ভিডিও।
  • স্পষ্ট প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি।
  • প্রোডাক্টের ফিচার ও বেনিফিট তুলে ধরা।
  • অর্ডার করার প্রক্রিয়া সহজভাবে বলা।

বেসিক ডিজিটাল মার্কেটিং জানা:

অনলাইন ব্যবসা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বেসিক ডিজিটাল মার্কেটিং জানতে হবে। ফেসবুকের এড পলিসি না জানলে এড একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা আপনার আইডি নিষ্ক্রিয় হতে পারে। তাই, এড পলিসি, টার্গেট কাস্টমার, মিডিয়া বায়িং ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

কী বেসিক জানা উচিত?

  • নিখুঁতভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কৌশল।
  • ভালো কন্টেন্ট আইডিয়া তৈরি করা।
  • ফেসবুক এডস চালানো শেখা।
  • ইউটিউব ভিডিওর এসইও জানা।
  • ওয়ার্ডপ্রেসে প্রোডাক্ট ও ব্লগ পাবলিশ করা।
  • এসইও সম্পর্কে ধারনা রাখা।

কপি করা যাবে না:

অনেকেই অন্যের কন্টেন্ট কপি করে নিজের পেজে পোস্ট করেন, যা একটি মারাত্মক ভুল। ফেসবুক বিভিন্ন সময়ে কন্টেন্ট কপির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় এবং অনেক একাউন্ট নিষিদ্ধ করে। কপি করা কন্টেন্ট ব্যবহার না করে নিজস্ব কন্টেন্ট তৈরি করাই উচিত।

শেষ কথা:

অনলাইন ব্যবসা সফলভাবে চালাতে হলে প্রোডাক্ট নির্বাচন, মার্কেটিং এবং কন্টেন্ট তৈরির উপর জোর দিতে হবে। কিছু না জেনে হুট করে শুরু করলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি।